Type Here to Get Search Results !

হাওড়া-দিঘা বাস স্ট্যান্ড থেকে ১৭ লাখ নগদ সহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে উদ্ধার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার হল লাখ লাখ টাকা। সোমে বড়বাজারের পোস্তার পর এবার মঙ্গলে হাওড়া ব্রিজের কাছেই ভুরি ভুরি টাকা। এক ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে উদ্ধার লাখ লাখ টাকা। কেন ও কিসের জন্য ওই টাকা কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং কোথা থেকেই বা এল এই টাকা তার উত্তর খোঁজার চেষ্টায় পুলিশ।

ফের শহরে উদ্ধার লাখ লাখ টাকা। প্রচুর নগদ টাকা নিয়ে গাড়িতে যাওয়ার সময় গ্রেফতার এক ব্যবসায়ী। বিপুল নগদ অর্থ কোথায় তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং এই অর্থের উৎস কি? সে সম্পর্কে তিনি কোনও উত্তর দিতে পারেননি। সোমের পর ফের মঙ্গলেও কলকাতার কাছেই এভাবে মুড়ি মুড়কির মতো লাখ লাখ টাকা উদ্ধারে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

মঙ্গলবার হাওড়া ব্রিজের কাছে গাড়িতে নজরদারি চালাতে গিয়ে চমকে উঠেন কর্তব্যরত আধিকারিকরা। উৎসবের শহরে চলছে বাড়তি নজরদারি। তার মধ্যে গাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা আবিষ্কার করলেন তাতে রয়েছে লাখ লাখ টাকা। গোপন সূত্রে আগেই পুলিশের কাছে বিপুল নগদ লেনদেনের খবর ছিল। সেই মতোই চলছিল তল্লাশি। কেন সেই গাড়িতে এত টাকা? উত্তর না মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আজ আদালতে পেশ করা হবে।

জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম কিষাণ আগরওয়াল। হাওড়া দিঘা বাস স্ট্যান্ড থেকে টাকা সমেত গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কিষান আগারওয়াল নামে বছর উনত্রিশের এক যুবক কলকাতার দিকে আসছিলেন। যুবকের বাড়ি বেলুড়ে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলকাতার দিকেই যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া ব্রিজের কাছে তার গাড়ি দাঁড় করায়। পুলিশ ওই গাড়িতে তল্লাশি চালালে নগদ ১৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পেশায় প্লাস্টিকের ব্যবসায়ী কিষান ওই টাকা কোথায় কী উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এর পাশাপাশি নগদ টাকার উৎস নিয়ে কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ তাঁকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করে। টাকা নিয়ে তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর বাজেয়াপ্ত করা টাকা আয়কর দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ধৃতকে বুধবার হাওড়া আদালতে তোলা হবে।

সোমবারও কলকাতার পোস্তা থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়। পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার হয় প্রায় ৫৬ লাখ নগদ। পোস্তা থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়েই হানা দেন। গ্রেফতার করা হয় ৪০ বছর বয়সি আমন সিদ্দিকিকে। এই টাকার উৎস কী সে সম্পর্কে কোনও উত্তর ছিল না আমন সিদ্দিকির কাছে।